ঠং এর দোকানে বসে কয় একজন অপরিচিত লোক চা খাচ্ছেন। কিছু দুরে টহল পুলিশের একটি দল। স্বাভাবিক ভাবে দেশের সম্প্রতিক পরিস্তিতি নিয়ে আলোচোনা শুরু হল। আলোচনার এক পর্যায়ে
প্রথম জন: ভাই কি করেন।
দ্বিতীয় জন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।
প্রথম জন: হাতে কিসের বই।
দ্বিতীয় জন: কবিতার বই।
প্রথম জন: লেখালেখি করেন নাকি।
দ্বিতীয় জন: এই একটু-আধটু কবিতা চর্চা করি।
প্রথম জন: কোন বই বের করেছনা?
দ্বিতীয় জন: না ভাই।
প্রথম জন: তাহেলে পএিকায় লিখেন নাকি?
প্রথম জন: ভাই কি করেন।
দ্বিতীয় জন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি।
প্রথম জন: হাতে কিসের বই।
দ্বিতীয় জন: কবিতার বই।
প্রথম জন: লেখালেখি করেন নাকি।
দ্বিতীয় জন: এই একটু-আধটু কবিতা চর্চা করি।
প্রথম জন: কোন বই বের করেছনা?
দ্বিতীয় জন: না ভাই।
প্রথম জন: তাহেলে পএিকায় লিখেন নাকি?
দ্বিতীয় জন: পএিকায় তো ছাপাতে চাই, কিন্তু পরিচিত না থাকলে আজকাল পএিকাওয়ালারা চান্স দিতে চাই না। তাই ফেইসবুকে আর ব্লগেই মনের ভাব প্রকাশ করি।
ব্লগের কথা শুনে পুলিশের কান খাড়া হয়ে গেল। কাছের এসে জানতে চাইলেন
ব্লগের কথা শুনে পুলিশের কান খাড়া হয়ে গেল। কাছের এসে জানতে চাইলেন
আপনি কি ব্লগে লেখেন?
কবি বল্লেন হ্যাঁ।
পুলিশ: তার মানে আপনি ব্লগার।
কবি: মাথা নাড়লেন।
পুলিশ: আমার সাথে গাড়িতে উঠেন। আপনাকে থানায় যেতে হাবে। .......
বাস্তব কোন ঘটানা না। তবে বাস্তব হলেও অবাক হব না। বাংলাদেশে এক এক সময় এক এক শব্দের ব্রান্ডিং হয়। কোন কোনটি হয় পজিটিভ ব্রান্ডিং, যা মানুষের সু-নজারে থাকে আর মানুষ এই শব্দ নিজের সাথে যোগ করাতে চাই। আবার কোন কোনটি হয় নেগেটিভ ব্রন্ডিং যা মানুষ নিজের সাথে যোগ করতে চাই না আর কোন ভাবে তার সাথে যুক্ত হলে বুঝতে হবে কোপালে শনি আছে।যেমন টি হয়েছে আমাদের কবির।
যেমন ৭১ এ যুদ্ধের সময় ছিল "মুক্তি" তেমনি যুদ্ধের পর "রাজাকার"।
তেমনি ৯০ এর পরে হয়েছে স্বৈরাচার। মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা প্রেসিডেন্ট এরশাদের সু নাজরে ছিলেন এবং এর কল্যানে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছিলেন তারাও এরশাদ পতনের পর এরশাদ কে স্বৈরাচার বলে গালি দেওয়া শুরু করলেন।
এর পার ৯০ এর পরে আসল পুরানো শব্দের নতুন করে ব্রান্ডিং এর পালা। যেমন দালাল, ভারতের দালাল, পাকিস্তানের দালাল, পক-ভারতের দালাল। বলা বাহুল্য প্রায় সব কায়টাই নেগেটিভ ব্রান্ডিং।
অতি সম্প্রতি কিছু নতুন এবং পুরানো যা সবার জানা, তুই রাজাকার, নব্য রাজাকার, দ্বি্ত্বীয় মুক্তিযুদ্ধা, প্রজম্ম ( ৫৫ বছরের মানুষকেও নতুন প্রজম্মের সৈনিক হিসাবে দাবি করতে শুনা যায়!) এবং সব শেষে আসল ব্লগার। ব্লগার নামের গুগলের একটি ব্লগ ওয়েব সাইট আছে, অনাকে এটাও কে নাস্তিক বলে গ্রেফতারের দাবি করেছে ! (বেচারা ব্লগার!)।
অনেকে এই শব্দ গুলো না বুঝেও তাদের প্রতি ভাল-খারাপ মনোভাব পোষন করেন। অনেকে বুঝ তর্ক এড়িয়ে চলেন।আবার আনেকে আছেন তারা বুঝও না বুঝার ভান করেন এবং নিজেদের স্বর্থে ব্যাবহার করেন।
পাড়ালেখা এবং পেশাগত কারনে দেশের বাহিরে থাকায় নিজেকে অনাকে কিছু থাকে বন্ঞিত মনে করি। মা-বাবা পরিবার, বন্ধদের মিস করি। কিন্তু দুঃখ জানক হলেও সত্য আজ নিজেকে অনকে ভাগ্যবান মনে হাচ্ছে। দেশের বাহিরে থাকাতে নির্ভেয়ে ব্লগিং করতে পারতেছি।
কবি বল্লেন হ্যাঁ।
পুলিশ: তার মানে আপনি ব্লগার।
কবি: মাথা নাড়লেন।
পুলিশ: আমার সাথে গাড়িতে উঠেন। আপনাকে থানায় যেতে হাবে। .......
বাস্তব কোন ঘটানা না। তবে বাস্তব হলেও অবাক হব না। বাংলাদেশে এক এক সময় এক এক শব্দের ব্রান্ডিং হয়। কোন কোনটি হয় পজিটিভ ব্রান্ডিং, যা মানুষের সু-নজারে থাকে আর মানুষ এই শব্দ নিজের সাথে যোগ করাতে চাই। আবার কোন কোনটি হয় নেগেটিভ ব্রন্ডিং যা মানুষ নিজের সাথে যোগ করতে চাই না আর কোন ভাবে তার সাথে যুক্ত হলে বুঝতে হবে কোপালে শনি আছে।যেমন টি হয়েছে আমাদের কবির।
যেমন ৭১ এ যুদ্ধের সময় ছিল "মুক্তি" তেমনি যুদ্ধের পর "রাজাকার"।
তেমনি ৯০ এর পরে হয়েছে স্বৈরাচার। মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা প্রেসিডেন্ট এরশাদের সু নাজরে ছিলেন এবং এর কল্যানে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছিলেন তারাও এরশাদ পতনের পর এরশাদ কে স্বৈরাচার বলে গালি দেওয়া শুরু করলেন।
এর পার ৯০ এর পরে আসল পুরানো শব্দের নতুন করে ব্রান্ডিং এর পালা। যেমন দালাল, ভারতের দালাল, পাকিস্তানের দালাল, পক-ভারতের দালাল। বলা বাহুল্য প্রায় সব কায়টাই নেগেটিভ ব্রান্ডিং।
অতি সম্প্রতি কিছু নতুন এবং পুরানো যা সবার জানা, তুই রাজাকার, নব্য রাজাকার, দ্বি্ত্বীয় মুক্তিযুদ্ধা, প্রজম্ম ( ৫৫ বছরের মানুষকেও নতুন প্রজম্মের সৈনিক হিসাবে দাবি করতে শুনা যায়!) এবং সব শেষে আসল ব্লগার। ব্লগার নামের গুগলের একটি ব্লগ ওয়েব সাইট আছে, অনাকে এটাও কে নাস্তিক বলে গ্রেফতারের দাবি করেছে ! (বেচারা ব্লগার!)।
অনেকে এই শব্দ গুলো না বুঝেও তাদের প্রতি ভাল-খারাপ মনোভাব পোষন করেন। অনেকে বুঝ তর্ক এড়িয়ে চলেন।আবার আনেকে আছেন তারা বুঝও না বুঝার ভান করেন এবং নিজেদের স্বর্থে ব্যাবহার করেন।
পাড়ালেখা এবং পেশাগত কারনে দেশের বাহিরে থাকায় নিজেকে অনাকে কিছু থাকে বন্ঞিত মনে করি। মা-বাবা পরিবার, বন্ধদের মিস করি। কিন্তু দুঃখ জানক হলেও সত্য আজ নিজেকে অনকে ভাগ্যবান মনে হাচ্ছে। দেশের বাহিরে থাকাতে নির্ভেয়ে ব্লগিং করতে পারতেছি।
আমি অবশ্যই চাই মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যারা আমার ধর্মীয় অনুভূতে আঘাত করেছেন তাদের বিচার। কিন্তু সরকার এতোদিন তাদের অশ্রয় দিয়ে যে আপরাধ করেছেন তা ডাকার জন্য নিরাপরাদ ব্লগারদের ধরে নির্যাত করতেছেন, ইসলাম বিদ্বেষি ব্লগারদের গ্রেফতারের নামে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন তার নিন্দা জানায়।
সেই সাথে হেফাজতে ইসলামে কে ধন্যবাদ জানায় আর সমর্থন জানায় তাদের সাফল্য (সরকারের টনাক নাড়ানোর জা্ন্য), আসা করি তারা সরকার কে এতদিন ঐসব ব্লগারদের আস্রয় দেবার অপরাধের জন্য তওবা করতে বলবেন। এবং সর্বশেষ আশা হেফাজতে ইসলাম হেফাজতে জামায়েত ইসলাম হয়ে যাবে না।
1 comment:
asa
Post a Comment