নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা আপ্রয়োজনীয়তা

প্রায় এক মাস হতে চলছে ৫ এ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর। এ এক মাসে কে কি পায়েছে না পেয়েছে জানি না তবে দেশের মানুষ শন্তিতে চলা ফেরা করতে পেরেচে। আর কত দিন পারবে জানি না, তবে এতদিনের হরতারল, অবরোধ (সরকারী এবং বেসরকারী উভয়) থেকে মানুষ রেহায় পেয়েছে। তাও বা কম কি। যাথারীতি আওয়ামীলীগ নির্বাচনের বৈধতা নিশ্চিত করা এবং বি, এন, পি নির্বাচন বাতিল করার জন্য কূটনীতিক প্রতিদন্দিতায় নেমেছেন। তাও ঠিক আছে মাঠের খেলা থেকে তার অন্তত বিরত। আর এ খেলায় আওয়ামীলীগ অপাতত এগিয়ে আছে। 

মনে হচ্ছে বাহিরের বন্ধুরা আওয়ামীলীগের নির্বাচন আপাতত মেনে নিয়েছে। তা তারা মেনে নেবেই। তাদের কাছে যে লাভবান তারা তাকে মেনে নেবে, এটাই স্বাভাবিক। হোসনে মোবারক, গদ্দাফি কে তাঁরা দিনের পর দিন সমর্থন দিয়েছে, আবার মুসলিম ব্রাদারহুডের নির্বাচিত সরকার উচ্ছেদ করার পরেও তাঁরা চুপ। কিন্তু প্রশ্ন অন্য জায়গায়। এর ভবিষৎ কি? 

ধরলাম আওয়ামীলীগ আগামী পাঁচ বছর ক্ষমতায়। আর পাঁচ বছর টিকতে পারলে তারা একটা জিনিস অন্তত নিশ্চিত করবে তা হচ্ছে দেশে জামায়েত নামে কোন বস্তু থাকবে না। এর পর বি, এন পি হয়তো টিকে থাকবে, কিন্তু তা থাকা আর না থাকার সমান। এবারের নির্বাচন হয়েছে সরকারের আওতাধীন। এ নির্বাচন যদি সবাই মেনে নায়, নিশ্চিত আগামী নির্বাচনও হবে সরকারের আওতাধীন। বি, এন পি যদি এখন না পারে পাঁচ নির্বাচন রোধ করতে পারবে না তা বলতে আপনাকে বিশেষজ্ঞ হতে হবে না। ফলাফল দেশে এক দলিয় গনতন্ত্র।  তাছাড়া এখানে আওয়ামীলীগ এবং বি, এন, পি উভ্যয় দল মেনে নেবে, জনগন নায়, বিদেশী প্রভুকে সন্তুষ্ট করাই ক্ষমতায় যাওয়া এবং টিকে থাকার একমাত্র পথ।

তাই এখনি নির্বাচন হওয়া দরকার। যেই আসুক আওয়ামীলীগ বা বি, এন , পি। তাতে কোন বাঁধা নাই (আমার মতে উভয়ে সমান) ।  শুধু তাদের নির্বাচনী জবাবদিহি থাকা দরকার। এতে দূরনীতি হয়তো কমবে না, কিন্তু অবাধও হবে না। মানুষের জবাব দিহিতা ফিরে আসবে। 

No comments: