জেনারেশনঃ ব্রেইন ওয়াশড় (মাগজ ধোলাই করা প্রজম্ম)



রাজনীতিবিদ কিম্বা পত্র-পত্রিকায় একটা কথা সব সময় শুনা যায়, “আগামী প্রজম্মের কাছে বাংলাদেশের ভবিষৎ”। কথাটা শুধু বাংলাদেশ না সব দেশের জন্য সত্য। সব জাতীই বুক ভরা আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে নতুন প্রজেম্মের দিকে দেশের উন্নতি, সমৃদি ও নতুন দিনের নেতৃতের দেবার জন্য। বাংলাদেশও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। নতুন প্রজেম্মের কাছে দেশের প্রত্যাশা অনেক। বাংলাদেশের নতুন প্রজম্ম কতটা তৈরী দেশের উন্নতির দেবার জন্য?

সবাই জানি আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক নেতারা দেশের উন্নতি করা তো দুরের কথা, দেশের সমস্যা নিয়ে, আলোচনা করাতে একসাথে বসতে পারেনা। সবাই নিজ নিজ কথায় অনড়। দেশ রসাতল ভেদ করে আরো নিচে চলে যাক, আমার আঁখের গোচ্ছা ঠিক থাকতে হবে। ফলাফল মানুষের সীমাহীন দূর্ভোগ, যন্ত্রনা, অকাল প্রান হানী। আর নতুন প্রজম্ম যখন পুরানো পাপিগুলোকে সব জেনেশুনে অনুসরন করে, তখন আস্রইয়ের শেষ স্থানটাও চলে যায়।   

এই প্রজম্ম ইন্টারনেটেই তাঁদের মনের কথা প্রকাশ করে। ব্লগে বা ফেইসবুকে এদের লেখাগুলো পড়লে মনে হয়, এরা পুরাটাই ব্রেইন ওয়াশড়। মগজের কোন অংশই বাকি নেই, পুরাটাই ওয়াশিং মেশিনে ধোলাই করা। যে আওয়ামীলীগ করে তাঁর কাছে আওয়ামীলীগের সব সঠিক। যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ৯৬ শেখ হাসিনার এত মায়া কান্না, জ্বালাও পোড়াও আন্দলোন, সেই সরকার বাতিল করা, যে এরশাদকে হটানোর জন্য ডঃ মিলন ও নুর হোসেনের আত্বদান, সেই এরশাদ কে কাছে পাবার জন্য মারিয়া। সব বিনা বাক্যে সমর্থন করে নতুন প্রজম্মে আওয়ামীলীগ।  অনুরুপ ভাবে, নতুন প্রজম্মে বি এন পি জেনেশুনে নেতাদের দুর্নীতি, দেশের, মানুষের ক্ষতি করে হরতাল অবরোধ মনে নেয়। ৭১ এ জামায়েতের নেতাদের, স্ব-স্বিকৃত রাজাকারদের কু-কর্মের কথা জেনেও এদের পক্কে সাফাই গায়, যুক্তি তুলে এই প্রজম্মের শিবির এর কর্মিরা।  

এই যখন অবস্তা, কে করবে এই দেশ মাতার দেখাশোনা। কেন আমরা পারি না খারাপ কে খারাপ বলতে, দুর্নীতিবাজকে এক সাথে বলতে “তুই মিসকিন”, রাজাকার কে “তুই রাজাকার”, দেশের সাথা প্রতারনা কারীদের “তুই মিরজাফর”।   

আসুন বৃত্তের বাহিরে এসে একবার দেশটার কথা ভাবি,  আমাদের আগের প্রজম্ম পারেনাই, তাই বালে কি আমরা পারবোনা দেশের স্বর্থে এক হতে? আমরা যদি না জাগি তো, কেমনে সকাল হবে?

বিঃদ্রঃ সম্মপূর্ণ নিজের বিবেকের তাড়না থেকে লেখা, কোন দল বা গোষ্টি দ্বারা প্রভাবিত হেয়ে নয়। লেখাটা কারো মনে আঘাত দিলে ক্ষমা করবেন। 

No comments: