সব দোষ পোড়া কোপালি জনগনের।

শেখ হাসিনা কে দেখলাম তিনি খুব খোঁশ মেজাজে আছেন। সাংবাদিকদের সাথে বেশ মজা করলে। বি, বি, সি বাংলার সাংবাদিক কাদির কল্লোলকে তো বলেই দিলেন বি, বি, সি'র গলা উচু, তাঁদের মাইক লাগবেনা। চা খাবার জন্য তারা হুরা করে উঠে যাবার আগ পর্যন্ত এ রাখম আরো রসিকতা করলেন। আর সাংবাদিক সম্মেল শুরু করার আগে তো তিনি ইনু সাহেব কে এক প্রকার নেংটা করে ছাড়লেন। যাতে মানুষ খুব মজা পেয়েছেন।  ইউটিউব, টুইটার, আর ফেসবুকে এই ভিডিওর ছড়া ছড়ি দেখে বুঝা যায়। 




প্রধান মন্ত্রীর হাসি মাখা মুখ খানি দেখে বেশ ভালো লাগলো, মনটা একপ্রাকার ভরে গেল। হাজার হোক দেশের প্রধান মন্ত্রী। তিনি হাসি মুখে থাকলে অন্তত বাহিরের মানুষ ভাববে দেশের মানুষ ভালো আছেন। কিন্তু আমার কাছে একটা জিনিস খটকা লাগলো, তাঁর অফিসে কি চা গরম রাখার কোন ব্যাবস্তা নেই। ইস যদি থাকতো তাহলে অন্তত আমি আরো কিছু রসিকতা শুনতে পেতারম। তিনি গরম চা খাবার জন্য তাড়াহুড়া করে উঠে যেতেন না।  আপনার নিশ্চই ধরতে পেরেছন, আমি তাঁর রসিকতা বেশ উপোভোগ করেছি। তবে আমার কাছে মনে হলো তিনি শুধু সাংবাদিকের সাথে না। সারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে রসিকতা করতেছেন। এতে আমি দোষের কিছু দেখি না। তিনি ধরে নিয়েছেন, দেশের মানুষ বেশ ভালো আছেন। আর শীতের দিনে এরকম একটু রসিকতায় মাজা পেয়ে হাসলে তাঁদের মুখের ত্বক ভালো থাবে, সেই সাথে মনটাও।  

কিন্তু আসলেই কি দেশের মানুষ ভালো আছেন। দেশের অপর প্রধান মহীলা যে বেশ রেগে আছেন তা তো তিনি টিভি কেমরার সামনেই প্রকাশ করেছেন। আর রাগবেন না বা কেন? শেখ হাসিনা তো তাঁর বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন। মানে সহজ, পাঁচ বছর শেখ হাসিনা খেয়েছেন এবার তাঁর পালা। জনগন জেলি ফিসের মতো। ভোটের সময় আগের বারের বি, এন, পি সরকারের সব দোষ ভুলে যাবেন আর আওয়ামীলীগের সব কথা মনে রাখবেন। ফালফল বি, এন, পি আবার ক্ষমতায়, গত পাঁছ বছরের ক্ষিদা মেঠানো।


এ কথা  বি, এন, পি আওয়ামীলীগ সবাই জানে। তাই তারা ক্ষমতায় গেলে আর চেয়ার ছাড়তে চান না। যে ভাবে হোক আগলে রাখতে হবে আরও পাঁচ বছর। তবুও যদি ক্ষিদা মিটে। আর জনগন সে সুযোগ দিতে চানা না। 

সুতরাং দেশে আজ যা হতেছে তাঁর সব  দোষ পোড়া কোপালি জনগনের। 

No comments: