তথ্য যোদ্ধা সায়মন ড্রিং


১৯৭১, ২৫ শে মার্চ রাত। পাকিস্থানের অখন্ড রক্ষায় প্রস্তুত পাক সেনাবাহিনীর জোয়ানরা। কিছুক্ষনের মধ্যে ঘটে যাব মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গনহত্য। অথচ হতভাগা মানুষ গুলো জানেও না তাদের ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে। অন্য একটা সাধারন দিনের মতো আজো তারা ঘুমতে গেল। মায়ের মুখে ঘুমপাড়ানির গান শুনতে শুনতে যে ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়লো সে জানেও না এটাই তার জীবনের শেষ ঘুম। ছলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঘুমিয়ে পড়া মা টি জানে না এই ধরণীতে এটাই তার শেষ রাত। তেমনি পাকিস্থানি শাষক গোষ্টিও বাহিরের পৃথিবীকে জানতে দিতে চাই না কি ঘটতে যাচ্ছে ঢাকাতে। তাদের মতে পাকিস্থা রক্ষায় কিছু প্রানহানী ঘটলে কিছু যায় আসে না। তাছড়া মালাওনের সাথে হাত মেলানো মুসলমান সাচ্ছা মুসলমান না। এদের কে মারা যায়।


২৫ মার্চের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে বিদেশী সব সাংবাদিক কে জোর করে ঢাকা থেকে বাহির করে দিয়েছে পাক শষক গোষ্টি। অনেক সাংবাদিক কে লাঞ্ছিত  করা হ্য়। এমন কি মৃত্যুক হুমকি দেওয়া হয়। 


এত কিছুর মাঝেও নতুন কিছু জানার ইচ্ছাকে দমন করতে পারেন নাই ২৫ বছর বয়সী এক বৃটিশ তরুন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বর্তমানে রুপসী বাংলা, তে লুকিয়ে ছিলেন লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফের তরুন রিপোর্টার সায়মন ড্রিং। নিজের চোখে দেখেন সে রাতে কি হয়েছে ঢাকাতে। পরের দিন কারফিও উঠেগেলে হোটেল কর্মকর্তাদের সহায়তায় সাইমন বাহিরে বেড় হন, ঢাকার ধংসাজ্ঞের ছবিতুলে পাঠান লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফে। সারা পৃথিবী জানে কি হচ্ছে বাংলাদেশে। এটাই যুদ্ধ বিদ্ধস্থ ঢাকা থেকে প্রথম রিপোর্ট। তরুন এই সংবাদিকে সহসীকতা একটা জাতির ইতিহাস পাল্টাতে সহায়তা করে। সরা বিশ্বে বংলাদেশ নামক নতুন দেশটির নাম পৌছে যায়।তার এই সাহসীকতার জন্য তাকে বাংলাদেশের সম্মন সূচক নগরিকত্ব দেওয়া হয়। 



আমিও খুশি হইতাম যদি লেখাটা এখানে শেষ করতে পারতাম। 

 সায়মন ড্রিং আবার আসেন ঢাকায়। এবার একুশে টেলিভিশনের সথে জড়িত হয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৭১ পাক বাহিনী তাকে তাড়াতে না পারলেও এবার তাকে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার দেশে ছাড়া করেন। বি, এন, পি সরকারের উপর ভার করে ১৯৭১ সালের পাকিস্থানের দোষররা এবার ঠিকই সফল হন। 

হায়রে বাংলাদেশ !!!!!

রেফারেন্সঃ 
Daily Telegraph London (2002, 2nd March Edition) http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/asia/bangladesh/1408933/Hero-journalist-expelled-from-Bangladesh.html 
Simon Dring on Wikipedia : http://en.wikipedia.org/wiki/Simon_Dring
Bangladesh Genocide Archive : http://www.genocidebangladesh.org/?page_id=36

No comments: